নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতকানিয়ায় গণধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী শিমুল শ্যামল দেবনাথ (৪০)’কে চন্দনাইশ এলাকা হতে আটক করেছে র্যাব-৭।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, ভুক্তভোগী ভিকটিম ১৮ বছর বয়সের এবং চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থানাধীন সিকদারপাড়া এলাকায় তার মা এবং ভাই বোনসহ বসবাস করত। ভিকটিমদের পাশের বাড়িতে বসবাসকারী আসামী মোক্তার আহমদ (৪৫) ভিকটিমকে প্রায়ই বিভিন্ন প্রকার কুপ্রস্তাব দিত এবং তার প্রস্তাবে রাজী না হলে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিত। আসামী এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় ভিকটিমের পরিবার ভয়ে কিছু বলত না। গত ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টার আসামী মোক্তার তার সহযোগী শিমুল শ্যামল দেবনাথ ও আনু বেগম এর সহায়তায় ভিকটিমকে তার বাড়ির সামনের রাস্তা হতে অপহরণ করে সিএনজিতে করে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আসামী মোক্তার এবং শ্যামল ভিকটিমকে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন ২৮ অক্টোবর সকালে আসামীরা ভিকটিমকে অসুস্থ্য অবস্থায় বাঁশখালী থানাধীন কাতারিয়া এলাকায় ভিকটিমের আত্মীয়ের বাসার সামনে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
উল্লেখিত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া থানায় ০৩ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন যার মামলা নং-০২, তারিখ- ০২ নভেম্বর ২০২২ ইং ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০(সংশোধনী-২০০৩)
এর ৭/৯(৩)/৩০ এবং বিষয়টি র্যাব-৭, চট্টগ্রামকে অবহিত করে।
উল্লেখ্য গত ০৮ নভেম্বর উক্ত গণধর্ষণ মামলার ১নং আসামী ধর্ষক মোক্তার হোসেন (৪৫)’কে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গ্রেফতার হয় এবং ধর্ষক শ্যামল দেবনাথ’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে, উক্ত ধর্ষণ মামলার এজাহারনামীয় ২নং আসামী শ্যামল দেবনাথ চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানাধীন দোহাজারী এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গতকাল ৯ নভেম্বর আনুমানিক ৭টার বর্ণিত এলাকায় ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে আসামী শিমুল @শ্যামল দেবনাথ (৪০), পিতাঃ- মৃত গৌর কিশোর দেবনাথ, সাং- দোহাজারী, থানাঃ চন্দনাইশ, জেলাঃ চট্টগ্রামকে আটক করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় ২নং পলাতক আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীর সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।